
বাংলাদেশের ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে পরিচিত ও এনসিপি নামক একটি সংগঠনের প্রধান হাসনাত আব্দুল্লাহকে ঘিরে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রয়োজনে ভারতের “সেভেন সিস্টার্স” অঞ্চলে হামলা চালানো হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশনকে লক্ষ্য করে হামলার প্রস্তুতির কথাও আলোচনায় এসেছে।
বক্তব্যে নড়ে চড়ে বসে গোয়েন্দা সংস্থা
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্যের উৎস ও পেছনের নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তের একপর্যায়ে তার কর্মকাণ্ড ও যোগাযোগ নিয়ে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে, যা গোয়েন্দা মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিদেশি গোয়েন্দা ও জঙ্গি সংযোগে
গোয়েন্দা সূত্রে ওঠে এসেছে , তদন্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং এমআই-এর শীর্ষ পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব যোগাযোগের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশকে যুদ্ধ ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিমত অনুযায়ী, ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ের আড়ালে পরিচালিত এই কার্যক্রম দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর কঠোর নজরদারি
বর্তমানে হাসনাত আব্দুল্লাহকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।