
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শ্রীবল্লভপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
আসামীরা হলো
মোঃ মোতালেব (৪০), পিতা- আঃ হাশেম, ০২। মোঃ শামীম (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, ০৩। মোঃ ফয়সাল (৩০), পিতা- আঃ হাশেম, ০৪। মোঃ সেলিম (৩৫), পিতা- অজ্ঞাত, ০৫। শাহিন (২৯), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- শ্রীবল্লভপুর, ০৬। নাজমুল (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- দৈয়ারা, সর্ব থানা- সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা- কুমিল্লা, ০৭। রাজু মিয়া (৪০), পিতা- মাসুক মিয়া, সাং- মজলিশপুর, থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, এ/পিঃ সাং- শ্রীবল্লভপুর পশ্চিমপাড়া (০২নং বিবাদী শামীমের বাসার ভাড়াটিয়া), ০৮। রুবেল (২৫), পিতা- মৃত মোমেন, সাং- দূর্গাপুর, ০৯। সোলেমান (৩৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- কচুয়া, ১০। জাহাঙ্গীর (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- শ্রীবল্লভপুর পূর্ব পাড়া, ১১। আলেমা প্রঃ কালনা (২৫), স্বামী- রাহুল মিয়া, ১২। অনুফা আক্তার (২৫), স্বামী- শাহাদ সানি, উভয় সাং- ধরমন্ডল, থানা- নাসিরনগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এ/পিঃ সাং- শ্রীবল্লভপুর পশ্চিমপাড়া (০২নং বিবাদী শামীমের বাসার ভাড়াটিয়া)।
মামলার বাদী মোঃ রিজোয়ান (৪০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি বর্তমানে শ্রীবল্লভপুর, পদুয়ার বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
মামলার তদতন্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান যে, , গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীবল্লভপুর এলাকায় পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে মোঃ মোতালেবের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা লাঠিসোটা, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় বাদী মোঃ রিজোয়ান পুলিশকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তার মাথা, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।
এছাড়াও হামলাকারীরা বাদীর কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা, একটি বাটন মোবাইল ফোন এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে হামলাকারীরা তাকে জোরপূর্বক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং তালাবদ্ধ করে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা বাদীকে ছেড়ে দেয়।
আহত ব্যবসায়ীকে প্রথমে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান আমার টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ফোর্সকে বেআইনি জনতাবদ্ধভাবে প্রহার এবং পুলিশি কাজে বাধা প্রদান করে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমিও গেলে আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
তিনি জানান হামলার মূল নেতৃত্বকারী মোতালেব, সে নাকি বিএনপির স্থানীয় নেতা আর ভাই শাহ ফয়সাল করিম জামাতের সক্রিয় কর্মী।
তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য ষাড়াশী অভিযান চলছে।