
২০২৪ সালের বন্যাকালে উত্তোলিত ত্রাণ তহবিলের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় সংগৃহীত ত্রাণের একটি অংশ তৎকালীন সমন্বয়কদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই অর্থের কিছু অংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিশেষ করে বিটকয়েনের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি এনসিপিতে যোগ দেওয়ার পর তাসনিম জারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের অংশ হিসেবে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে আর্থিক অনুদান পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়। ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা জমা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই অনুদানের একটি অংশ পরিচিতজনদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, যা অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তারা বলছেন, নির্বাচনকালীন অর্থায়ন ও ত্রাণ তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকলে এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
তাসনিম জারার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।