আর্ন্তজাতিক

পাকিস্তানের আইএসআইএর পরিকল্পনায় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আট হাজার সশস্ত্র শিবির সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোমা কারখানা – এটাই কি আদর্শ ও অভূতপূর্ব নির্বাচনী প্রস্তুুতি?

  ডেস্ক নিউজ: 29 December 2025 , 3:50:30 প্রিন্ট সংস্করণ

পাকিস্তানের আইএসআইএর পরিকল্পনায় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আট হাজার সশস্ত্র শিবির সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোমা কারখানা – এটাই কি আদর্শ ও অভূতপূর্ব নির্বাচনী প্রস্তুুতি?

ভারতীয় নিরপত্তা সংস্থাগুলোর একটি রিপোর্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে ন্যাশনাল আর্মড রিজার্ভ (এনএআর) গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ইন্ডিয়া নিউজ।

নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর (আইএএনএস): বাংলাদেশে সম্ভাব্য কিছু নতুন ঘটনার দিকে কড়া নজর রাখছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো, কারণ কট্টরপন্থী ন্যাশনাল আর্মড রিজার্ভ (এনএআর) গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ইউনিটে বাংলাদেশের ৮,০০০-এরও বেশি উগ্রপন্থায় প্রভাবিত তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং শরিয়াহ আইন আরোপের মাধ্যমে দেশকে নিয়ন্ত্রণ করাই এর মূল লক্ষ্য।

ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কর্মকর্তাদের মতে, দেশের পুলিশের পরিবর্তে এনএআর গঠন করা হচ্ছে। এই ইউনিট শরিয়াহ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

এই পরিকল্পনার সূচনা করেছে আইএসআই এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ইউনিটটি গঠনের প্রাক্কালে ইতোমধ্যেই একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাকিস্তানের পরিকল্পনা হলো—একদিকে একটি কট্টরপন্থী সেনাবাহিনী, অন্যদিকে একটি পুলিশি শাখা রাখা। বাংলাদেশে এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, যারা পুরোপুরি পাকিস্তানমুখী এবং অত্যন্ত উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী—এমন তথ্য পেয়েছেন কর্মকর্তারা।

বর্তমানে সেনাবাহিনীর ভেতরে, এমনকি এর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত। এ কারণেই আইএসআই সেনাবাহিনী পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে এবং পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিদের শীর্ষে বসাতে চাইছে। পাকিস্তান এই প্রক্রিয়া তদারকির জন্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহিল আমান আজমিকে চিহ্নিত করেছে।

তিনি একজন অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি এবং প্রয়াত জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আজমের পুত্র। তিনি পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। ভারতীয় সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা কাঠামোতে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। পাকিস্তান প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে বসাতে চায়।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এই পদটি বিলুপ্ত হবে, এরপর তাকে এনএআরের দায়িত্বে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি কূটনীতিক বাংলাদেশে এসেছেন। তারা নিয়মিতভাবে ঢাকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। যাদের সঙ্গে তারা নিয়মিত দেখা করছেন, তাদের মধ্যে আজমি অন্যতম। ঢাকা ও ইসলামাবাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন—এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বানানী অফিসার্স হাউজিং স্কিমে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে অনেক পাকিস্তানি কূটনীতিক অবস্থান করছেন। ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এমনই একটি বৈঠক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এসেছে।

এই বৈঠকটি একই কমপ্লেক্সে আজমি এবং পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মকর্তাদের মতে, এই বৈঠক বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এছাড়া ঢাকায় আইএসআই-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কূটনীতিকদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, এসব বৈঠক প্রস্তাবিত ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের দিকেই ইঙ্গিত করছে।

নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা থাকলেও কর্মকর্তারা মনে করেন, এই পরিকল্পনা সফল নাও হতে পারে। লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশকে এমনভাবে পরিচালনা করা, যেভাবে পাকিস্তান পরিচালিত হচ্ছে।

সেখানে নামেমাত্র একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার থাকলেও প্রকৃত ক্ষমতা থাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।

আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এড়াতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার থাকলেও পাকিস্তান চায়—এনএআর ও সেনাবাহিনীই আসল নিয়ন্ত্রণে থাকুক।

শেষ পর্যন্ত এনএআর পুলিশের জায়গা নেবে, আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভেতরে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠানের পুতুলরা দেশ পরিচালনার তদারকি করবে।

মূল লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ উগ্রপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করা। আইএসআই-সমর্থিত জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনগুলো এ লক্ষ্যেই কাজ করছে, তাই তাদের জন্য এনএআর অপরিহার্য। এই ইউনিট নিশ্চিত করবে যে সবাই কট্টর ইসলামের বিধান কঠোরভাবে মেনে চলে।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে থাকবে পাকিস্তানের অনুগত পুতুলরা—এমনটাই বলছেন কর্মকর্তারা।

আগামী দিনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য কাজের চাপ আরও বাড়বে, কারণ বাংলাদেশে একের পর এক নতুন ঘটনা ঘটছে। আইএসআই ছড়ানো ভুয়া বর্ণনার কারণে দেশটি চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে আইএসআই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

—আইএএনএস
ভিকি/এসভিএন

আরও খবর

বিরোধপূর্ণ সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনকে ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ – ইউনূসের কপালে ভাঁজ- ০৩ জানুয়ারিতে নতুন রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব

পাকিস্তানের আইএসআইএর পরিকল্পনায় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আট হাজার সশস্ত্র শিবির সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোমা কারখানা – এটাই কি আদর্শ ও অভূতপূর্ব নির্বাচনী প্রস্তুুতি?

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক: চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ,তীর ওয়াকার ও ইউনূসের দিকে

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে যুদ্ধ বিরতি জন্য ভারতকে অনুরোধ না করলে, পাকিস্তানকে নাই করে দিতো ভারত, অপারেশ সিঁদুরে- প্রথমবারের মতো অপারেশন সিঁদুরে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করল পাকিস্তান

Sponsered content

আরও খবর: আর্ন্তজাতিক

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক: চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ,তীর ওয়াকার ও ইউনূসের দিকে

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে যুদ্ধ বিরতি জন্য ভারতকে অনুরোধ না করলে, পাকিস্তানকে নাই করে দিতো ভারত, অপারেশ সিঁদুরে- প্রথমবারের মতো অপারেশন সিঁদুরে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করল পাকিস্তান

পাকিস্তানের আইএসআইএর পরিকল্পনায় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আট হাজার সশস্ত্র শিবির সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোমা কারখানা – এটাই কি আদর্শ ও অভূতপূর্ব নির্বাচনী প্রস্তুুতি?

ইলিয়াসকে জঙ্গি হিসেবে  আখ্যা দিলো মেটা

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনকে ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ – ইউনূসের কপালে ভাঁজ- ০৩ জানুয়ারিতে নতুন রাষ্ট্রদূত

ভিক্ষা করায় বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো পাকিস্তানিকে ফেরত