নিজস্ব প্রতিবেদক: 30 December 2025 , 9:03:39 প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে নেওয়া হয়—এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইউনুস সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, যাদের মধ্যে ‘ইউনুস’ ও ‘ওয়াকার’ নামে পরিচিত দুইজনের ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে জোরপূর্বক সেখানে নিয়ে যান।
অভিযোগে বলা হয়, সেনাকুঞ্জে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ার থেকে নামিয়ে জোর করে হাঁটিয়ে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি শারীরিকভাবে হাঁটতে অপারগতা প্রকাশ করলে একপর্যায়ে মাটিতে বসে পড়েন। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরদিনই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে আরও দাবি করা হচ্ছে যে, ঘটনার পরবর্তী কোনো দৃশ্য বা ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগকারীদের ধারণা, রাজনৈতিক বিবেচনায় একজন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে সেনাকুঞ্জে যেতে বাধ্য করা হলে তার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
সমালোচকদের মতে, যদি এই চাপ না থাকত, তাহলে খালেদা জিয়া আরও সুস্থ থাকতে পারতেন এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকার সুযোগও তৈরি হতে পারত। কেউ কেউ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার স্বাস্থ্যঝুঁকির দায় সরকারের ওপর বর্তানোর কথাও বলছেন।
তবে এ বিষয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক মহল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ঘিরে আলোচনা চলছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, ভিডিওটি মুছে ফেলা হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে অনেকেই এটি সংরক্ষণ ও শেয়ার করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।







