অনুসন্ধান প্রতিবেদন : 20 December 2025 , 11:46:08 প্রিন্ট সংস্করণ
গত কয়েক মাসে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্যক্তি “শরীফ ওসমান হাদি” নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন, তার পরিচয় নিয়ে সম্প্রতি গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন নথি ও দৃশ্যমান প্রমাণের বরাতে দাবি করা হচ্ছে, আলোচিত এই নামটি তার প্রকৃত নাম নয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমে এবং সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া তার লাশের কফিনে যে নাম লেখা রয়েছে, তা হলো “ওসমান গনি”। সেখানে উল্লেখিত বাবার নাম শরীফ আব্দুল হাদি।
অথচ, জনপরিসরে তাকে পরিচিত করা হয়েছে “শরীফ ওসমান হাদি” নামে—যা প্রকৃতপক্ষে তার বাবার নামকে নিজের নাম হিসেবে ব্যবহার করার শামিল বলে অভিযোগকারীদের দাবি।
পরিকল্পিত পরিচয় নির্মাণের অভিযোগ:
সমালোচকদের মতে, এটি কোনো অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়; বরং পরিকল্পিতভাবে একটি নতুন পরিচয় নির্মাণ করা হয়েছে। নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে জনমনে একটি নির্দিষ্ট ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে সেই পরিচয়কে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে—এমন অভিযোগও উঠেছে।
সামাজিক ও নৈতিক প্রশ্ন:
এই ঘটনায় একটি মৌলিক প্রশ্ন সামনে এসেছে:
যদি সত্যিই নাম পরিবর্তন করে পরিচয় উপস্থাপন করা হয়ে থাকে, তবে কেন তা করা হলো?
এতে জনসাধারণ ও গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে কি না?
পরিচয় সংক্রান্ত এমন অসঙ্গতি ভবিষ্যতে আরও কোন কোন তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে?
দাফন নিয়ে বিতর্ক:
আরও একটি বিতর্কের বিষয় হলো—জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে দাফন করার প্রসঙ্গ। যদি তা ঘটে, তবে সেখানে কোন নামটি ব্যবহৃত হবে—
প্রকৃত নাম “ওসমান গনি”, নাকি জনপরিচিত নাম “শরীফ ওসমান হাদি”?
অনেকেই বলছে এটি একটি ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের অংশ বলে দাবি করেন।

















