সারাদেশ

অপরাধীর পাহারায় এসএসএফ, দুর্নীতিবাজের সংবর্ধনা, ন্যায়বিচারের মৃত্যু

  অপরাধ বিশ্লেষক : 25 December 2025 , 4:55:06 প্রিন্ট সংস্করণ

রাষ্ট্র কি আজ অপরাধীদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে? এই প্রশ্ন আর তাত্ত্বিক নয়, এটি বাস্তব ও জ্বলন্ত। যখন একটি রাষ্ট্র অপরাধীকে নিরাপত্তা দেয়, দুর্নীতিবাজকে সংবর্ধনা দেয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির জন্য পুরো প্রশাসনিক যন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে—তখন সেই রাষ্ট্র আর নিরপেক্ষ থাকে না, সে নিজেই ন্যায়বিচার হত্যার অংশীদার হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা ঠিক সেই অন্ধকার মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

দেশের একজন শীর্ষ দুর্নীতিবাজ, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার আসামী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার অভিযুক্ত—যিনি একসময় সেনাবাহিনীর কাছে মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না—আজ তিনি কোনো রাষ্ট্রপ্রধান নন, কোনো সাংবিধানিক পদেও নেই। তবুও সরকার তাকে এসএসএফের নিরাপত্তা দিতে যাচ্ছে। এটি কেবল ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, এটি রাষ্ট্রের নৈতিক দেউলিয়াপনার প্রকাশ।
এখানেই থেমে থাকেনি রাষ্ট্রীয় পক্ষপাত। অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুসারীদের সুবিধার জন্য টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে, তিন স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে সংবর্ধনার মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র যেন জনগণের নিরাপত্তা, আইনের শাসন বা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বদলে একজন বিতর্কিত রাজনীতিকের আরাম ও প্রভাব রক্ষায় ব্যস্ত।
যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান—যিনি ‘১০ শতাংশ কমিশন’ ও ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ হিসেবে দেশের রাজনীতিতে কুখ্যাত। দুর্নীতি, সহিংসতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যাঁর নাম বারবার উঠে এসেছে, তাঁকেই আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ছত্রছায়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এটি আইনের শাসনের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা এবং বিচারব্যবস্থার মুখে চপেটাঘাত।
একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন এসএসএফ প্রটেকশন পায় এবং একজন শীর্ষ দুর্নীতিবাজকে সরকার আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়, তখন স্পষ্ট হয়ে যায়—আইন এখানে সবার জন্য সমান নয়। ক্ষমতাবানদের জন্য আইন শিথিল, আর সাধারণ মানুষের জন্য কঠোর।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব অপরাধীকে রক্ষা করা নয়, অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা। আজ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেখাচ্ছে—এ দেশে অপরাধ করলে শাস্তি নয়, বরং ক্ষমতার ছায়ায় পুরস্কার মেলে। ইতিহাস এই বিশ্বাসঘাতকতা ক্ষমা করে না। আজ যারা ন্যায়বিচারকে হত্যা করছে, কাল তারাই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।

আরও খবর

পরিচয় বিভ্রান্তি: ‘শরীফ ওসমান হাদি’ না কি ‘ওসমান গনি’? নাম নিয়ে ম্যাটিকুলাজ ডিজাইন জঙ্গি হাদির

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক: চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ,তীর ওয়াকার ও ইউনূসের দিকে

হাসনাত, মাহফুজ, নাহিদ, আসিফ গত ১৭ মাসে দুবাইয়ে অর্থ পাচার করেছে প্রতি জনে ২ হাজার কোটি টাকা, নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য জনপ্রতি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছে

বিরোধপূর্ণ সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত

তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জামায়াতের

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা ও ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে জামাত–বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

Sponsered content

ভিক্ষা করায় বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো পাকিস্তানিকে ফেরত

কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক: চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ,তীর ওয়াকার ও ইউনূসের দিকে

পাকিস্তানের আইএসআইএর পরিকল্পনায় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আট হাজার সশস্ত্র শিবির সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বোমা কারখানা – এটাই কি আদর্শ ও অভূতপূর্ব নির্বাচনী প্রস্তুুতি?

বিকাশ লেনদেনের মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করলেন তাসনিম জারা

বিরোধপূর্ণ সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত

আরও খবর: সারাদেশ

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক: চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ,তীর ওয়াকার ও ইউনূসের দিকে

আগেই প্রকাশ করেছিলাম খালেদা জিয়া মারা গেছেন- নতুন করে দেশ বাসীকে জানালো

হাসনাত, মাহফুজ, নাহিদ, আসিফ গত ১৭ মাসে দুবাইয়ে অর্থ পাচার করেছে প্রতি জনে ২ হাজার কোটি টাকা, নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য জনপ্রতি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছে

পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আইএসআই এর এজেন্ট আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশের নাগরিক নহে

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা ও ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে জামাত–বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া তাহের সুমনের বিরুদ্ধে ৬৪৭ কোটি টাকার জালিয়াতি, দুদকের মামলা